নাম: আল জামিয়া আল ইসলামিয়া পটিয়া
অবস্থান: চট্টগ্রাম শহরের দক্ষিণ পূর্বে ২৫ কিলোমিটার দূরে পটিয়া পৌরসভায় অবস্থিত।
প্রতিষ্ঠাতা: কুতবুল আলম আল্লামা শাহ মুফতী আজিজুল হক রহ।
বর্তমান পরিচালক: আল্লামা আবু তাহের কাসেমী নদভী (হাফিজাহুল্লাহ)।
পরিধি: প্রায় বিশ একর জমি।
ছাত্র: (৫০০০ প্রায়)
শিক্ষক ও কর্মচারী: ১৫০
প্রেক্ষাপট: ‘আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া পটিয়া’ দক্ষিণ র্পূব এশিয়ার বিখ্যাত দীনি দরসগোহ, যা প্রতষ্ঠিালগ্ন থেকে কুরআন-সুন্নাহর বিশুদ্ধ তা’লীম-তারবিয়্যত ও ‘আহলুসসুন্নাহ ওয়াল জামাতে’র আকিদা প্রচার-প্রসার এবং ইসলামের সঠিক ইতিহাস-ঐতিহ্য ও মূল্যবোধের সংরক্ষণে নিয়োজিত। পাশাপাশি ইসলাম বিরোধী সব অপশক্তির প্রতিরোধ-প্রতবিাদে সদা সোচ্চার এবং মুসলমি সন্তানদরেকে সৎ, যোগ্য ও একনষ্টি দাঈ রূপে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে র্ঈষণীয় ভূমকিা পালন করে আসছে।
উল্লখ্যে যে, বিগত ১৭৬৫ সালে দিল্লীর সম্রাট শাহ আলম ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীকে শোবায়ে বাংলার শাসনভার সোর্পদ করলে বৃটিশ কর্তৃপক্ষ ৮০,০০০ (আশি হাজার) কওমী মাদরাসা বন্ধ করে দেয় এবং সবগুলোর সম্পদ জব্দ করে নেয়। ফলে একদিকে ইসলামী শিক্ষাব্যবস্থায় ধস নাম, অপর দিকে মাদরাসাগুলোর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ কর্মহারা মানবেতর জীবন-যাপনে বাধ্য হন। সর্বত্রে অজ্ঞতা, ফিতনা-ফাসাদ ছড়িয়ে পড়ে এবং ইহুদী-খৃষ্টান চক্র ইসলামের বিরোদ্ধে তৎপর হয়ে উঠে।
অবশেষে ১৮৫৭ সালে আযাদী আন্দোলন তথা বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনে মুসলমানরা পরাজিত হওয়ার পর নির্ভীক মুজাহিদ মাওলানা কাসমে নানুতভী রহ. ১৮৬৬ সালে ঐতিহাসিক দারুল উলূম দেওবন্দ প্রতিষ্ঠা করেন। যা কওমী মাদরাসা শিক্ষা সংস্কারের সর্ব প্রথম রূপ। দারুল উলূম দেওবন্দের আদলে ও এর পরিপূর্ণ চিন্তাধারার আলোকে তদানন্তিন ‘মাদরাসায়ে জমিরিয়া কাসেমুল উলুম’ ও বর্তমান আল-জামিা আল-ইসলামিয়া পটিয়া ১৩৫৮ হিজরী মোতাবেক ১৯৩৮ সালে প্রতিষ্ঠা করনে যুগের ক্ষণজন্মা মনীষী, কুতবে যামান আল্লামা শাহ মুফতী আযীযুল হক রহ.।
আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া পটিয়া ভারত উপমহাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ট ইসলামী (বেসরকারী) বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে পরিচিত। শিক্ষা-দীক্ষায় বহুমুখী কার্যক্রমের পাশাপাশি সমাজ সেবা ও জনকল্যাণমূলক এবং অর্থনৈতিক বিভিন্ন কার্যক্রমে বিশাল অবদান রেখে যাচ্ছে।